আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর। যা বিশ্বে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। যার অভাবে প্রতিদিনই বিশ্বে হাজার হাজার করোনা আক্রান্ত রোগী মারা যাচ্ছেন। এর সঙ্কট রয়েছে বাংলাদেশেও।
চিকিৎসকরা বলছেন, করোনার পাশাপাশি শ্বাসকষ্টসহ জটিল রোগে আক্রান্তদের জন্য ভেন্টিলেটর ও আইসিইউ অত্যাবশ্যকীয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনসংখ্যার অনুপাতে দেশে করোনা মোকাবিলায় কমপক্ষে সাড়ে ৩ হাজার আইসিইউ ও ৫ হাজার ভেন্টিলেটর প্রস্তুত করা দরকার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা বলছে, কোভিট-১৯ এ আক্রান্ত মোট রোগীর ৮০ থেকে ৮২ শতাংশ সাধারণ চিকিৎসাতেই সুস্থ হয়ে ওঠেন। বাকি ১৮ থেকে ২০ শতাংশ রোগীর চিকিৎসা নিতে হয় হাসপাতালে।
এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ রোগীর জন্য প্রয়োজন হতে পারে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস সুবিধা বা ভেন্টিলেটর। আর জটিল ৫ শতাংশের জন্য লাগতে পারে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউ। এ বাস্তবতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, কোভিড ১৯ চিকিৎসায় এ মুহূর্তে দেশে মোট ১ হাজার ৫০টি আইসোলেশন বেড থাকলেও আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৪৫টির মতো। যদিও এর সবগুলোতে নেই আবার ভেন্টিলেটর সুবিধা। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা রোগীদের মধ্যে প্রায় ১৮ শতাংশ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত থাকায় আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বারডেম আইসিইউ বিশেষজ্ঞ ডা. ফাতেমা আহমেদ বলেন, যদি কিডনি ড্যামেজ হয়। তাহলে রোগী ডায়ালাইসিস থেরাপি দিতে লাগে। মডেরেটর কিংবা নিউমোনিয়া রোগীর রেসপারেটরি ফেইলর হয়। এবং এআরডিএস হতে পারে। এসব রোগী শ্বাস সার্পোট ভেন্টিলেটর দরকার হয়। সেহেতু তাদেরকে অবশ্যই আইসিউতে থাকতে হবে। এই গ্রুপে রোগীর হার্টের সমস্যা হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা বিপর্যয় রোধে এখনই দেশের সব বেসরকারি ও সরকারি হাসপাতালের আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর একীভূত করা উচিত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মাজহারুল বলেন, দেশে ৩ হাজার ৪০০ আইসিইউ বেডের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা দরকার। কমপক্ষে ৫ হাজার ভেন্টিলেটর দরকার। এ জায়গায় কম্প্রোমাইস করার কোনো সুযোগ নেই। সরকারি-বেসরকারি আইসিইউর দায়িত্বের থাকা নার্সদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এবং সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোর আইসিইউ ও ভেন্টিলেটরগুলো এক জায়গায় এনে সমন্বয় করতে হবে।